ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পাল্টে দিয়েছে ভূমিহীন-গৃহহীনদের জীবনের গল্প।
এই ঘর অনেকেরই জীবন পরিবর্তনের প্রধান অনুপ্রেরনা হিসেবে কাজ করছে। যাদের জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় কেটেছে ভাসমান অবস্থায়, ছিল না কোনও স্থায়ী ঠিকানা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহারের আধাপাকা ঘরসহ জমির মালিক হয়ে পেয়েছেন ঠিকানা। সেখানেই নতুন করে জীবনের স্বপ্ন দেখছেন এক সময়ের গৃহহীন ভুমিহীন ও নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে আনন্দে আবেগে আত্মহারা গৃহহীন মানুষগুলো। দীর্ঘায়ু সুস্থ্যতা কামনা করেন অসহায় ছিন্নমুল মানুষ প্রধানমন্ত্রীর জন্য।
মোসা. মালা বেগম, বয়স ৬৫ পেরিয়েছে। সংসারে অসুস্থ স্বামী মো. নান্নুকে নিয়ে কোন মতে দিন কাটে তার।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে পেয়েছেন ঘর। জীবন সায়াহ্নে এসে আবার নতুন করে সংসারে মেতেছেন এই দম্পতি। বেশির ভাগ সময় মানুষের বাড়িতে কাজ করে স্বামীর ঔষধসহ সংসার পরিচালনা করেন তিনি। শুধু মালা বেগম নন, দিতি, স্বজনী বিশ্বাস, উপহারের ঘর পাওয়া নিম্ন আয়ের সবারই স্বপ্ন ও জীবন যাপনে পরিবর্তন এসেছে। হাঠৎ এমন পরিবর্তনে একদিকে যেমন উচ্ছ্সিবত তারা। অন্যদিকে নতুন করে বাঁচার তাগিদ তাদের মনে।শুধু নিজের ঘর নয়,পুরো প্রকল্প এলাকাই সাজছে তাদের যত্ন ও আবেগে।
নারগিস নামে ৪০ বছর বয়সী আরেক মহিলা বললেন, ঘর পাওয়ার পর এক মুহূতের জন্যও এখান থেকে সরি নাই।’ নারগিসের সঙ্গে কথা হচ্ছিলো তার মধুখালী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের আশ্রায়ণ প্রকল্পের নতুন ঘরের বারান্দায়। নিজের এমন ঘর হবে কল্পনাও করেননি তিনি। ঘর পেয়ে সাজিয়েছেন নিজের মনের মত করে। ঘরের চারিদিকে গাছ লাগিয়ে সবুজের সমারহ করে নজর কেরেছেন অনেকের। উপহারের ঘরের একপাশে দোকান করে একমাত্র মেয়ে ও মাকে নিয়ে সংসার চলে তার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আশিকুর রহমান চৌধুরি জানান,ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে পরিচালিত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে নির্মীত উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় এ পর্যন্ত ধাপে ধাপে ৩০৯ টি ঘর নির্মান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া গৃহহীন ও ভুমিহীনদের উপহারের ঘর। এ অর্থ বছরে আরো ১১২টি ঘর নির্মাণ করা হবে। ২ শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা দুই রুমের ঘর করে দেওয়া হয়েছে। রান্নাঘর, টয়লেট, সুপেয় পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ, আঙ্গিনায় হাস-মুরগি পালন ও শাক-সবজি চাষেরও জায়গা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমার জন্য এই কাজটি একটি হৃদয়ের বিষয়। এত চমৎকারভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে গর্বের একটি প্রকল্প। এর মাধ্যমে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হচ্ছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS