মোঃ নিজাম উদ্দিন, উদ্যোক্তা, ১নং কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদ, মধুখালী, ফরিদপুর মোবাঃ ০১৯২০-৪৮৩৬৭৮
আমি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ১নং কামারখালী ইউনিয়নের উদ্যোক্তা মোঃ নিজাম উদ্দিন, আমি ২০০১ সালে বি এস এস পাশ করি। সরকারি কোন চাকরি না পেয়ে আমি ২০১১ সালে কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে কাজ শুরু করি। ঐ সময়ে উদ্যোক্তা আসলে কি বা উদ্যোক্তা কাকে বলে কিছুই বুঝতাম না। কম্পিউটারে কাজ করি ও জনগণকে সাধারন কিছু সেবা দিতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন যখন আমাদেরকে ঢাকায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আমাদেরকে উদ্যোক্তা হিসাবে ঘোষনা দিয়ে আমাদের কাজের ভিত মজবুত করে এবং অনলাইন সেবা উন্মুক্ত করে। এর পর থেকে আমাদের ইউডিসি সেন্টারে কাজের ভির বেড়ে যায় এবং আমাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এদিকে দ্রব্যে মূল্যের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে যার কারনে আমরা দুইজন উদ্যেক্তা যে টাকা ভাগ পেতাম তা দিয়ে আমাদের সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়। আমার সংসারে আর কোন উপার্জনক্ষম ব্যক্তি না থাকায় খুবই কষ্টে দিনপাত করছিলাম। ২০১৭ সালে ফরিদপুর ডিসি অফিসের সাকির্ট হাউসে ফরিদপুর জেলার উদ্যেক্তাদের নিয়ে একটি ট্রেনিং অনুষ্ঠিত হয়। যে ট্রেনিং এর উদ্দেশ্য হল উদ্যেক্তা যাহাতে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বাড়তি আয়, ব্যবসায়ী মনোভাব সৃষ্টি ও উদ্যেক্তারা নিজেরা সৃজনশীল কিছু তৈরি করে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারে এবং অন্যেদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে। সেই ট্রেনিং এ আমাদের স্যার ছিলেন মাননীয় ডিসি স্যার জনাব উম্মে সালমা তানজিয়া, এ ডি সি শামসুল ইসলাম স্যার, জনাব এরাদুল হক স্যার, ডিডি এল জি আব্দুস সবুর স্যার ও জেলা আইসিটি প্রধান স্যার। স্যারদের সেই ট্রেনিং এর উৎসাহ মূলক কথায় সত্যিই এত অভিভুত হয়ে ছিলাম যে নিজে কোন আয়ের পথ সৃষ্টি করতে না পারলে মনে হয় সরকারের এই প্রচেষ্টা জেলার সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সর্বোত্তম ট্রেনিং সবই বৃথা হয়ে যাবে। ট্রেনিং এর শেষের দিন এ ডি সি শামসূল ইসলাম স্যার প্রশ্ন করে ছিলেন সবাইকে কে কি ব্যাবসা করতে চাও তখন আমি দাড়িয়ে বলেছিলাম স্যার আমি সফটওয়্যার নির্মান করে সফটওয়্যার ব্যবসা করতে চাই। আমি ক্লাস এইটে পড়া থেকে দীর্ঘ ২২ বছর টিউশনি করে নিজের লেখাপড়া করা ও সংসারের হাল ধরেছি। সেই টিউশনি পড়ানো থেকে আমার মনে ধারনা আসে শিক্ষা বিষয়ক সফটওয়্যার তৈরি করা। যে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে স্কুল কলেজের যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা যায়। স্যারদের এই উৎসাহ মূলক কথায় ২০১৭ সাল থেকে আমি সফটওয়্যারে কাজ করা শুরু করি এবং দীর্ঘ প্রায় তিন বছরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে একটি স্কুল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার তৈরি করি। যে সফটওয়্যারের নাম দেই আইডিয়াল স্কুল। ইতিমধ্যে আমার সফটওয়্যার মধুখালী উপজেলার ৯৬টি প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক হাজিরায় ব্যবহৃত হচ্ছে এবং কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চলছে। আমার ইচ্ছা সারাদেশের উদ্যেক্তাদের মাঝে আমার সফটওয়্যার ছড়িয়ে দিতে। তাহলে উদ্যেক্তারা এই সফটওয়্যার তাদের নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্রি করে নিজেরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে পারবে এবং শিক্ষাখাতে বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। এজন্য আমি আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS